নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র কুরআন গ্রন্থ অবমাননার ঘটনায় জামা’আতুল মুজাহিদীন তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে।
যাবতীয় প্রশংসা সেই মহান রবের জন্য যিনি তার পবিত্র কিতাবকে সম্মানিত করেছেন, পরিপূর্ণ করেছেন এবং সমগ্র মানবজাতির হিদায়াতের জন্য নাযিল করেছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবীর উপর, তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবায়ে কেরাম এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা তাঁর হেদায়েতের পথে চলবে, তাদের সকলের উপর।
গত ৪ ই অক্টোবর সকাল অনুমানিক ৯ টার দিকে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের NAC-2 ভবনে কুরআনের উপর পা দিয়ে লাথি মেরে সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে এই কুলাঙ্গার অপূর্ব পাল। কুরআনকে অবমাননা করার সময় আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে বাধা দিতে গেলে সে তাদের সাথেও অশোভন আচরণ করে।
হে গায়রত সম্পন্ন মুসলিম উম্মাহ, আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করা উচিত, তিতুমীর-শাহজালালের এই ভূমি কি ইউরোপের সুইডেনে পরিণত হলো নাকি পশ্চিমের আমেরিকায়? আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করা উচিত, ২০২০ সালের পর থেকে নাস্তিক-শাতেমদের প্রকাশ্য ইসলাম অবমাননার ঘটনা কেন দিন-দিন বেড়েই চলেছে? আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করা উচিত, কাদের ইন্ধনে এগুলো ঘটছে এবং কারা বিচারের নামে নিরাপত্তা দিয়ে প্রহসন করছে?
হে প্রিয় উম্মাহ, নাস্তিক-শাতেমদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া এটা শুধু নির্দিষ্ট কোনো জিহাদি জামাআতের দায়িত্ব নয় বরং এটা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব। আজ দীর্ঘদিন হয়ে যাচ্ছে, বাংলার ভূমি কোনো শাতেমের রক্তে ভেজানো হয়নি। যার ফলাফল, আজ কুরআন অবমাননা হয়েছে এমন একটি রাষ্ট্রে যেখানের অধিকাংশ নাগরিক ইমানদার। তাই এটা আমাদের ইমানের দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা তাদের সামনে কিভাবে দাড়াবো যারা পবিত্র ভূমি রক্ষার জন্য ইসরায়েলের আগ্রাসী আক্রমণের নিরীহ শিকার হচ্ছেন? অথচ পবিত্র কুরআনের ইজ্জত রক্ষার জন্য আজ আমরা বেছে নিচ্ছি প্রচলিত গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদের পদ্ধতি! সুতরাং সময় এসেছে, দিল্লি-ওয়াশিংটনের গোলামী করা সরকারের কাছে বিচার না চেয়ে নিজেরাই বিচার করা। নববী সুন্নাহকে জিন্দা করার সময় এসেছে। প্রমাণ করার সময় এসেছে আমরা কুরআনের হিফাযত করতে জানি।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত দ্বীনি ভাইদের প্রতি আহ্বান, যেই সহশিক্ষার পরিবেশে তারা কুরআনকে অবমাননা করেছে, আপনারা সেই পরিবেশেই কুরআনকে সম্মানিত করুন। প্রত্যেকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিত কুরআনের এক-একটি দূর্গ। যেখানে নিয়মিত কুরআনের তিলাওয়াত, কুরআনের দারস, কুরআন নিয়ে গবেষণা এবং কুরআনের বিধানগুলো সমাজে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কুরআনের পরিবেশের ভিত্তি স্থাপন করুন। তারা চক্রান্ত করছে, আপনারা কৌশল গ্রহণ করুন।
হে আল্লাহ, আমাদের দূর্বল ইমানের জন্য আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদের হাতকে শক্তিশালী করুন যেন আমরা আপনার কিতাবের সম্মান রক্ষা করতে পারি।
– জামা’আতুল মুজাহিদীন
COMMENTS