ʺ আল কুদসের মুক্তিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ ʺ শাইখ সালাহুদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ) ┇ Saham Al Hind media

Homeবার্তা ও বিবৃতিFeatured

ʺ আল কুদসের মুক্তিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ ʺ শাইখ সালাহুদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ) ┇ Saham Al Hind media

আল কুদসের মুক্তিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ: শাইখ সালাহুদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ)

১৪৪৬ হিজরীর জিলহজ্জ মাসে আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার সম্মানিত আমির শাইখ সাদ বিন আতিফ আল আওলাকি (হাফিযাহুল্লাহ) এর ‘মুমিনদের উদ্বুদ্ধ করুন’ শিরোনামে প্রকাশিত হওয়া ভিডিও বার্তার প্রেক্ষাপটে জামা’আতুল মুজাহিদীন এর সম্মানিত আমির শাইখ সালাহুদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ) এর সমর্থনমূলক বার্তা

জিলহজ্জ – ১৪৪৬ হিজরী

জুন – ২০২৫ ঈসায়ী

সাহাম আল হিন্দি মিডিয়া

PDF Download link (files.fm)

PDF Download link (media fire)

الحمد لله وحده والصلاه والسلام على من لا نبي بعده اما بعد.

মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন তার পবিত্র কিতাবে বলেন,

لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ ٱلنَّاسِ عَدَٰوَةࣰ لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱلۡيَهُودَ وَٱلَّذِينَ أَشۡرَكُواْۖ

যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে ইয়াহূদ ও মুশরিকদেরকে তুমি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি শত্রুতাপরায়ণ দেখতে পাবে, (সূরা মায়িদা: ৮২)

কুরআনের এই বাণী খুবই স্পষ্ট ভাষায় আমাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছে ঈমানদারদের বিরুদ্ধে শত্রুতাপরায়ণে কারা অগ্রগামী। এই আয়াত যে কতটাই সত্য সেটা আমরা আজ বাস্তবে উপলব্ধি করছি। গাজ্জা থেকে শুরু করে হিন্দুস্তান পর্যন্ত, প্রত্যেকটি নির্যাতিত ভূমিতে ইয়াহুদী এবং মুশরিকরা তাদের পাশবিকতার সর্বোচ্চ স্তরে পোঁছে গেছে। এতদিন তারা কৌশলে মুসলিম উম্মাহকে বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত রেখে, আজ দল-মত নির্বিশেষে সকলকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। আজ মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যে যুদ্ধ চলমান রয়েছে এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে চলে আসা ঈমান ও কুফরের নিয়মিত সংঘাতেরই অংশবিশেষ। ইসলামকে ধ্বংস করার একক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে জায়নবাদী এবং হিন্দুত্ববাদী শক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক সকল যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করছে। তাদের লক্ষ্য একটাই, পৃথিবী থেকে তাওহীদের নাম ও চিহ্ন মুছে দেওয়া, তাওহীদের অনুসারীদের হত্যা করা।

বৈশ্বিক জিহাদের সূচনালগ্ন থেকেই জিহাদি অঙ্গনের সম্মানিত উলামা-উমারাগণ পুরো মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করে এসেছেন তাদের শত্রুদের সম্পর্কে এবং তাদের বিরুদ্ধে করণীয় সম্পর্কে। কিন্তু আমাদের প্রিয় উম্মাহ এই বিষয়ে সর্বদাই নিরব ভূমিকা পালন করেছে, যার পরিণতি আজ আমাদের সামনে স্পষ্ট।

আজ মুসলিম উম্মাহ খুবই সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হওয়ার সময় নয়। একে-অপরের উপর দোষারোপ করারও সময় নয়। এই নাজুক সময়ে আমাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে এই আগ্রাসী শত্রুকে মোকাবিলা করতে হবে। আল কুদসের মুক্তির জন্য অবশ্যই জায়নবাদী শক্তিকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আক্রমণ করা ছাড়া আমরা কখনোই জায়নবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে পারবো না।

আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার সম্মানিত আমির শাইখ সাদ বিন আতিফ আল আওলাকি (হাফিযাহুল্লাহ) চলতি বছরের জিলহজ্জ মাসে একটি ভিডিও বার্তায় গাজ্জা গণহত্যায় মুসলিম উম্মাহর করণীয় সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে ইসরায়েল এবং আমেরিকার উপর আক্রমণ বৃদ্ধির আহ্বান জানান এবং মুসলিম উম্মাহ ও মুজাহিদদের এক প্লাটফর্মে আসার দাওয়াত দেন।

এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, আল কুদসের মুক্তির জন্য জামা’আতুল মুজাহিদীন ঐক্যবদ্ধতার দাওয়াত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অগ্রগামী হবে। আমরা শুরু থেকেই উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এসেছি। ইসলামের বিজয়ের জন্য নববী পন্থায় যারাই অগ্রসর হবে, আমরা তাদের সকলের মিত্র। তারা আমাদের ভাই এবং আমরাও তাদের ভাই। তাদের বিপদ আমাদের বিপদ। তাদের বিজয় আমাদের বিজয়। তাদের শত্রু আমাদের শত্রু। সুতরাং পৃথিবীর সকল প্রান্তের হকপন্থী মুজাহিদদের সঙ্গে জামা’আতুল মুজাহিদীন ঐক্যবদ্ধ আলহামদুলিল্লাহ।

আন্তর্জাতিক জায়নবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে, মুহতারাম শাইখ সাদ বিন আতিফ আল আওলাকি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা তুলে ধরেছেন। আমরা পুরো মুসলিম উম্মাহকে সেই প্রত্যেকটি দিকনির্দেশনার উপর দৃঢ়ভাবে আমল করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

দিকনির্দেশনা সমূহ:

প্রথমত: এই অঞ্চলের মুসলিম জনসাধারণের দায়িত্ব হলো—আজ গাজায় যা ঘটছে, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। অন্তত ন্যূনতম করণীয় হচ্ছে—নাগরিক অবাধ্যতা (civil disobedience) এবং প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে সেগুলোর উপর স্থায়ীভাবে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করা। বিশেষ করে, রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতাদের বাসভবনের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলো, সরকারি কাজকর্ম ও মন্ত্রণালয়গুলোর পথ, বিমানবন্দর, বন্দর এবং মিশর ও জর্ডানের স্থলসীমান্তের প্রবেশদ্বারগুলোর দিকেই এই অবরোধ কেন্দ্রীভূত করা উচিত।

দ্বিতীয়ত: গোটা অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে হিজাজের ভূমি (বর্তমান সৌদি আরব), সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ইরাক ও কুয়েত—এসব দেশের প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব হলো, যারা তেল, খনিজ সম্পদ এবং এগুলোর রপ্তানি খাতে কাজ করেন, কিংবা ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা সরকারি অফিসে কর্মরত আছেন—তাদের উচিত সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতি পালন করা। আর যদি সম্মিলিতভাবে সম্ভব না হয়, তবে ছোট ছোট দলে কিংবা একাকী হলেও তা করা উচিত। সেইসঙ্গে, এ কর্মসূচিকে গণমাধ্যমে তুলে ধরা উচিত—সোশ্যাল মিডিয়া সহ সকল উপলব্ধ মাধ্যমে—যাতে আল্লাহর ইচ্ছায় সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া যায়।

তৃতীয়ত: গালফ অঞ্চল—গালফ রাষ্ট্রসমূহ, ইরাক ও সিরিয়ার সব গোত্র ও গোত্রপ্রধানদের দায়িত্ব হলো, যত দ্রুত সম্ভব সকল প্রকার অস্ত্র সংগ্রহ করা, নিজেদের প্রস্তুত করা এবং সেই অনিবার্য দিনের জন্য প্রস্তুত থাকা। সেইসঙ্গে, তারা যেন নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলে, পারস্পরিক সমন্বয় করে এবং গোত্রের যুবসমাজকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির জন্য তৈরি রাখে, যেন যখনই সাধারণ জিহাদের আহ্বান জানানো হবে, তখনই তারা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি ভাইদের অথবা শত্রুর কবলে পড়া যেকোনো মুসলিম দেশের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।

চতুর্থত: আলেম, দাঈ ও গোত্রপ্রধানদের দায়িত্ব হলো—উম্মাহর, বিশেষ করে এর যুবসমাজের মনোবলকে জাগ্রত করা এবং তাদেরকে প্রস্তুতির ময়দান ও জিহাদের মাঠে এগিয়ে দেওয়া—যার বিবরণ পরে আসছে।

পঞ্চমত: উম্মাহর ব্যবসায়ীরা বিশেষভাবে এবং সাধারণভাবে প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের উচিত—যতটুকু সম্ভব, তা কম হোক বা বেশি—প্রস্তুতির ময়দান ও জিহাদের রাস্তায় দান করা; কোনো ভয় বা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়াই।

ষষ্ঠত: জাতির যুবসমাজের প্রতি আহ্বান, তারা যেন সত্যিকার মুজাহিদদের সারিতে যোগদান করে, বিশেষত তাদের ঐ ভাইদের সারিতে, যারা আল-কায়েদা সংগঠনে রয়েছে। কয়েক দশক হয়ে গিয়েছে তারা আমেরিকান ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে পবিত্র জিহাদ ঘোষণা করেছে। তাদের নেতা ও আলেমগণ তাদের আহ্বানকে তাদের পবিত্র ও নির্মল রক্তে সিক্ত করেছেন। সুতরাং হে যুবসমাজ! তাদের সাথে যোগদান করে প্রশিক্ষণ নাও, প্রস্তুত হও, শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি হও, অস্ত্র চালনা ও যুদ্ধের কৌশল রপ্ত করো, যাতে তোমরা অগ্রসর হতে পারো এবং জাতিকে দীর্ঘদিনের অত্যাচার, অবিচার ও দুর্বল অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পারো। আর পবিত্র স্থানগুলোকে কাফের ও অত্যাচারীদের হাত থেকে মুক্ত করো। তবে যোগদানের আগে পূর্ব সমন্বয় করা এবং যোদ্ধাদের গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।

সপ্তমত: সমগ্র আরব উপদ্বীপের তরুণ ও গর্বিত গোত্রসমূহ, বিশেষত ইয়েমেনের গোত্র ও তার যুবকদের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা যেন মার্কিন বাহিনী ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়, যদি তারা ইয়েমেনের পবিত্র ভূমিতে পদার্পণ করে। আমরা ইয়েমেনের সকল মুসলিম জনগণকেও আহ্বান জানাই, তারা যেন—এই পবিত্র ভূমিকে কাফির ও তাদের দোসরদের কবল থেকে মুক্ত করতে এবং আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করতে শরিয়া সমর্থকদেরকে সাহায্য করে—মানুষ, অস্ত্র, অর্থ ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

অষ্টমত: কেউ যদি হত্যার সুন্নাতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম হয় তার কর্তব্য: যারা গাজায় যুদ্ধের সমর্থক (আরবের ইহুদিদের) নেতৃত্বের কাছাকাছি রয়েছে—যেমন মিসর ও জর্ডানের শাসক এবং আরব উপদ্বীপের সকল শাসক, যারা অর্থ সরবরাহ ও লজিস্টিক সহায়তার মাধ্যমে জায়নবাদীদের পক্ষে এই যুদ্ধকে সমর্থন করছে—তাদের ব্যাপারে এক মুহূর্তও দেরি না করে গুপ্তহত্যার মিশন আরম্ভ করে দেওয়া। নিশ্চয়ই এটি বর্তমান সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ। এই শাসকেরা তাদের নির্লজ্জ মিডিয়া চ্যানেলগুলিতে এবং পর্দার সামনে যা বলে, তা দ্বারা কেউ যেন প্রতারিত না হয়। যদি তারা না থাকত, তাহলে গাজা অবরুদ্ধ হতো না, হাজারো মানুষ নিহত হতো না এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতো না। তাই যে ব্যক্তি তাদের সেনাবাহিনীতে আছে এবং তার হৃদয়ে ঈমান আছে; যে ব্যক্তি আল্লাহর শাস্তিকে ভয় পায়—ফিলিস্তিনে তার ভাইদের সাহায্য না করার কারণে—তার এখনই এই পুতুল, নিচ ও ইহুদি ও মুরতাদ শাসকদের রক্ষাকারী সেনাবাহিনীর ভিতরে কিছু করার সময় এসেছে। বিশেষ করে পাইলটদের উচিত ইহুদিদের এবং এই অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা আমেরিকান ঘাঁটিগুলো ও সমুদ্রে অবস্থানরত বিমানবাহী জাহাজগুলো আক্রমণ করা। অন্ততপক্ষে আরব বিশ্বের এই গাদ্দার, দালাল শাসকদের প্রাসাদে আঘাত হানা উচিত। নাপাকির বিধানে কুকুরের মাথা ও লেজের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

নবম: ইরাক ও সিরিয়ার মুজাহিদ ভাইয়েরা—যারা সুন্নি সম্প্রদায়ের অগ্নিময়, বীর ও সাহসী সন্তান—তাদের কর্তব্য হলো ফিলিস্তিনে নিজেদের ভাইদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা এবং আল্লাহকে ভয় করে অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য অজুহাতে তাদেরকে অসহায় অবস্থায় ফেলে না দেওয়া। আপনাদের আশেপাশের মুসলিমরা প্রতি মুহূর্তে হত্যা, রক্তপাত, রোগ, ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় নিপতিত হচ্ছে। আল্লাহই একমাত্র অভিযোগের স্থল। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!!

COMMENTS

WORDPRESS: 0